বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের লাইসেন্স আবেদন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে করতে হবে। প্রথমে আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার মোবাইল নম্বরে রেজিস্ট্রেশন নম্বরসংবলিত একটি এসএমএস যাবে। এ রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি ব্যবহার করে আপনার অ্যাকাউন্টটি চালু করুন।
পরবর্তী কাজের জন্য ব্যবহৃত ই-মেইল ও পাসওয়ার্ডটি সংরক্ষণ করুন। তারকা (*) চিহ্নিত ক্ষেত্রগুলোসহ অন্যান্য ফিল্ডগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন ও সেভ বাটনে ক্লিক করুন। সবগুলো তথ্য যথাযথভাবে পূরণ হয়ে গেলে ‘Complete’ ট্যাবে ক্লিক করে ‘Final Submit’ বাটনে ক্লিক করুন। একবার ‘Final Submit’ বাটনে ক্লিক করলে আর কোনো তথ্য পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে না। আবেদন সাবমিটের পর প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করতে হবে।
কী কী কাগজ লাগবে : Payment Info-তে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জারি করা সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী পুনর্নির্ধারিত লাইসেন্স বা নবায়ন ফি ও সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ওই ফি’র ১৫ শতাংশ ভ্যাট আলাদা চালান ফরমে জমা দিতে হবে।
মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্র, হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন (নতুন প্রতিষ্ঠান) বা আয়কর প্রত্যয়নপত্র (পুরাতন প্রতিষ্ঠান), ভ্যাট রেজি. নম্বর, পরিবেশ ছাড়পত্র, নারকোটিক পারমিট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (ক্ষতিকর ও অক্ষতিকর) চুক্তিপত্র ও চালানের স্ক্যান কপি আপলোড করুন। কাগজপত্র সত্যায়িত করে প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে। যা পরিদর্শনকালে নিরীক্ষা করা হবে।
বর্তমানে চালু সেবা কার্যক্রমগুলোর তালিকা : বিশেষ সেবার ক্ষেত্রে প্রতিটার শয্যা সংখ্যা, সেবা প্রদানকারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, কর্তব্যরত চিকিৎসকের নাম ও কর্তব্যরত নার্সদের নাম-ঠিকানা, ছবি, বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন, বিশেষজ্ঞ সনদ, নিয়োগ ও যোগদান বা সম্মতিপত্র।সাহায্যকারীদের তালিকা, যন্ত্রপাতির তালিকা, বর্তমানে যেসব অস্ত্রোপচার ও যন্ত্রপাতির তালিকা হাসপাতালের প্রধানের স্বাক্ষরসহ সংরক্ষণ করতে হবে।
ফি কত লাগবে : বিভাগীয় বা সিটি কর্পোরেশন ১০-৫০ বেড হলে ৫০ হাজার, জেলায় হলে ৪০ হাজার, উপজেলায় হলে ২৫ হাজার। বিভাগীয় বা সিটি কর্পোরেশনে ৫১-১০০ বেড হলে ১ লাখ, জেলায় হলে ৭৫ হাজার, উপজেলায় হলে ৫০ হাজার।
বিভাগীয় বা সিটি কর্পোরেশনে ১০১-২৪৯ বেড হলে ১ লাখ ৫০ হাজার, জেলায় হলে ১ লাখ, উপজেলায় হলে ৭৫ হাজার। বিভাগীয় বা সিটি কর্পোরেশনে ২৫০ বেড হলে ২ লাখ ৫০ হাজার, জেলায় হলে ১ লাখ ৫০ হাজার, উপজেলায় হলে ১ লাখ টাকা ফি জমা দিতে হবে। পরিদর্শন শেষে সব কিছু ঠিক থাকলে হাসপাতালের লাইসেন্স দেয়া হবে। সব তথ্য www.dghs.gov.bd-ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।